স্বদেশ ডেস্ক:
ভোলার মনপুরায় দিনের বেলায় ঘরে প্রবেশ করে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে বহিষ্কৃত সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। একইসাথে ওই নেতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ৪নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে গৃহবধূর বাড়িতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে বিকেলে এ ঘটনায় সাবেক ওই ছাত্রলীগ নেতাকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ওই নেতার নাম এনাম হাওলাদার। এই ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
এর আগে স্কুলে প্রবেশ করে জোরপূর্বক এক শিক্ষিকাকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মনপুরা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতির পদসহ ছাত্রলীগ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে এনাম হাওলাদারের একর পর এক ধর্ষণকাণ্ডে বিব্রত উপজেলা আওয়ামী লীগ। বাবার ক্ষমতার জোরে একের পর এক ধর্ষণ করে পার পেয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ আওয়ামী লীগসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, এনাম হাওলাদারকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে।
তিনি আরো জানান, এনাম হাওলাদারের বিরুদ্ধে এক শিক্ষিকাসহ এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় আরো দুইটি মামলা রয়েছে। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে তিনটি ধর্ষণ মামলা হলো।
ঘটনা ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, বহিষ্কৃত সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বাড়ির পাশে ওই গৃহবধূর বাড়ি। প্রতিনিয়ত ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিতেন এনাম। বিষয়টি এনাম হাওলাদারের বাবা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হাওলাদারকে ওই গৃহবধূর স্বামী জানালেও প্রতিকার পাননি। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক দুই সন্তানের জননী গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন এনাম হাওলাদার। এই সময় গৃহবধূর কান্নার আওয়াজ শুনে বাড়ির পাশের লোকজন আসলে এনাম হাওলাদার পালিয়ে যান। পরে বিষয়টি ওই গৃহবধূর স্বামী মৎস্য ব্যবসায়ীকে জানায় স্থানীয়রা। স্বামী ঘটনা শুনে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন। পরে বিকেলে ওই গৃহবধূ এনাম হাওলাদারকে আসামি করে মনপুরা থানায় মামলা করেন।
এই ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শামসুদ্দিন সাগর জানান, এনাম হাওলাদার ছাত্রলীগের কোনো পর্যায়ের নেতা ও কর্মী নন। তাকে এর আগে একই কাণ্ডে জেলা ছাত্রলীগ, উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি পদ ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এই ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অলি উল্লাহ কাজল বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলে বহিষ্কৃত সাবেক ছাত্রলীগ নেতার একের পর এক ধর্ষণকাণ্ডে পুরো উপজেলা আওয়ামী লীগ বিব্রত।
এই ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশ বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করছে।